২০১৯ বিশ্বকাপ বাদ দিলে শেষ কবে সাকিব আল হাসান ব্যাটিং দিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন, তা মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ অফফর্মের পর অবশেষে রান পেলেন সাকিব। অনেক তিতিক্ষার পর আরো একবার সাকিবের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের জয় দেখলো ক্রিকেটপ্রেমিরা।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে মোটামুটি ধারাবাহিক সাকিব। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর থেকে বল হাতে আগের মতো পারফর্ম অব্যাহত থাকলেও ব্যাটিংয়ে ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ! অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো, ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলো…রানে ফিরলেন সাকিব..তাও আবার এমন এক ম্যাচজয়ী ইনিংস দিয়ে যখন একের পর এক ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে হারতে বসেছিল দল!
দুর্বল জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরলেও ব্রেন্ডন টেইলর(৪৬), মায়ারস(৩৪), মাধেভেরা(৫৬), সিকান্দার রাজার(৩০) ব্যাটে ভর করে ২৪০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। শরিফুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট, যার মধ্যে ছিল ফর্মে থাকা ব্রেন্ডন টেইলরের হাস্যকর ‘হিট আউট’টিও। এছাড়া সাকিব ২ টি, তাসকিন, মিরাজ, সাইফুদ্দিন নেন ১টি করে উইকেট।
টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা মাঠে আসা ও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার কাজটি সম্পন্ন করতে ভুল করেননি এ ম্যাচেও। ৭৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৫ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ের সামাল দেন। রিয়াদ ২৬ রানে ফেরার পর মিরাজ (৬) এবং আফিফও (১৫) মাঠে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
তবে সাইফুদ্দিন যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিবকে। ২৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়েন তিনি,ম্যাচ শেষে তাই সাকিবের কণ্ঠেও সাইফুদ্দিনের প্রশংসা।
ফলাফল, ২য় ওডিআই ৩ উইকেটে জিতে ২-০ তে সিরিজ নিশ্চিত করলো টিম টাইগারস। ম্যাচসেরা হন ৯৬(১০৯) রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা (সাথে ২ উইকেট শিকার) সাকিব আল হাসান।
‘লর্ড’ মিথুন ও মোসাদ্দেকের জায়গায় স্কোয়াডের অন্যদের একটু সুযোগ দেয়া উচিত নয় কি, বিশেষ করে নুরুল হাসান সোহান, নাইম শেখ কিংবা মেহেদি হাসানদের?
সিরিজের ৩য় ও শেষ ওয়ানডে ২০ জুলাই বেলা দেড়টায়।