দিন পনের পুর্বে ও বিটকয়েন মালিকদের অবস্থা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই ছিল। বিটকয়েন এর মুল্য উঠে গিয়েছিল ৬০ হাজার ডলারের ও ওপরে। যদিও এই অবস্থা আর বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, অতিসম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার বেশ বড় একটি ধাক্কা খেয়েছে । চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিটকয়েন এর মুল্য প্রায় অর্ধেক এ নেমে এসেছিল। 

বর্তমানে এই মুল্য কিছুটা রিকভার হওয়া সত্তেও একটি প্রশ্নকে বেশ গুরুত্ববহ করে তুলেছে, কিভাবে এই উথান পতন? 

বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিপ্টো মাইনিং এর উপর চাইনিজ সরকার এর জারি করা বিধিনিষেধ এবং এলন মাস্ক এর একটি টুইট এই দরপতনের অন্যতম কারন। 

মার্কেট এর এই উথান-পতনের এক্স্যাক্ট কারণ বলা বেশ কষ্টসাধ্য। তবে সাম্প্রতিক এই উথান পতন অন্তত এটি নির্দেশ করে কত দ্রুত গতিতে এই মার্কেটের পরিবর্তন হতে পারে। এই মার্কেটের অন্যতম শক্তি হিসেবে কাজ করে সাধারন জনগণের অতিরিক্ত মাতামাতি। 

শেয়ার বাজারে আমরা একটি প্রতিষ্টানের বিগত সময়ের রেকর্ড দেখে বেশ ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। সে তুলনায় ক্রিপ্টো মার্কেট এখনো নতুন এবং এই ধরনের কোন প্রতিষ্টিত মানদন্ড সেট হয় নি। বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগ হয় অনেকটাই অনুমান নির্ভর।

এটা সত্যি আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা আমাদের অনুমান কে প্রভাবিত করে। এলন মাস্কের টুইট ক্রিপ্টো বাজারে কোন মৌলিক পরিবর্তন আনেনি ঠিকই কিন্তু আমাদের অবচেতন মস্তিষ্কে ঠিকই প্রভাব বিস্তার করেছে কারন আমরা তাকে গুরু মানি। 

তবে প্রযুক্তির দুনিয়াই শীর্ষ পর্যায়ের লোকেরা যদি এভাবে বাজার কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন এবং মানুষ ভাবতে শুরু করে এই কারেন্সি গুলো ভবিষ্যৎহীন। তবে একটা সময় সত্যিকার অর্থেই এই কারেন্সি গুলো মূল্যহীন হবে।