যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই দুই পরাশক্তি মিত্র হয়ে লড়াই করলে ও এদের আদর্শে রয়েছে বিস্তর ফারাক। আমেরিকা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিল।

দুই কোরিয়ার নামের ধরন টি আমাদের সাথে বেশ পরিচিত। কেন বলছি পরিচিত? কারণ আমাদের পূর্ববর্তী নাম যে ছিল পূর্ব পাকিস্তান। ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই এই ধরনের নাম করন গুলো হয়ে থাকে। ঠিক তেমন টায় কোরিয়ার ক্ষেত্রে ও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে একটি দক্ষিণ কোরিয়া অপরটি উত্তর কোরিয়া নামে পরিচিত। একসময় এক রাষ্ট্র থাকলে ও আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর পূর্বে এরা আলাদা রাষ্ট্র বিভক্ত হয়েছে।

দ্বিতীয় যুদ্ধপূর্বকালীন সময়ে এই দুই রাষ্ট্র একত্রে কোরিয়া নামে পরিচিত ছিল এবং জাপানি শাসনের অধীনে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের পর কোরিয়ার একটি অংশ আমেরিকা দখল করে নেয় এবং অপর একটি অংশ সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল করে নেয়।

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই দুই পরাশক্তি মিত্র হয়ে লড়াই করলে ও এদের আদর্শে রয়েছে বিস্তর ফারাক। আমেরিকা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে কোরিয়া কিভাবে পরিচালিত হবে এবং এই প্রশ্নই শেষ পর্যন্ত জন্ম দেয় নতুন দুটি রাষ্ট্রের। সোভিয়েত সমর্থিত অংশ উত্তর কোরিয়া এবং ইউএস সমর্থিত অংশ দক্ষিণ কোরিয়া নামে পরিচিত হয়। এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিভক্তি হয় ১৯৪৮ এর ৯ ই সেপ্টেম্বর। সমাধান টি শান্তিপূর্ন মনে হলে ও আসলে কোনপক্ষই এতে সন্তুষ্ট ছিল না। এই অসন্তুষ্টি ১৯৫০ এ নতুন এক যুদ্ধের সূচনা করে। দুই কোরিয়া টানা তিনবছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত ছিল। ১৯৫৩ সালে এই যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে স্বীকৃত হলে ও অফিসিয়াল ভাবে এই যুদ্ধের সমাপ্তি কখনই হয় নি।