ইউরোর গ্রুপ এফ এর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই জায়ান্ট বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও ৩ বারের ইউরো জয়ী জার্মানি। সবার প্রত্যাশাকে মূল্য দিয়েই এক জমজমাট ম্যাচ দেখল ফুটবল সমর্থকেরা যেখানে ৬ গোলের ম্যাচে জার্মানি পর্তুগালকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় তুলে নিল।
Football is a simple game. Twenty-two men chase a ball for 90 minutes and at the end, the Germans always win.-Gary Lineker
ম্যাচটি শেষে মনে পরে এই উক্তিটি ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরে এইদিনের ম্যাচটি ছিল জার্মানির কাছে বাঁচা মরার ম্যাচ। তাই ম্যাচের শুরু থেকেই জার্মানি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে। এরই ফলে ৫মিনিটেই সুযোগ আসে এবং নাব্রি তাতে দারুন এক ফ্লাইং কিকে গোল করলেও মুলারের করা হ্যান্ডবলের কারণে গোলটা বাতিল হয়। এরপর আবার ১৫ মিনিটে কর্নার কিক নেয়ার পর পরই প্রতি আক্রমণে উঠে পর্তুগাল। তাতেই দিয়েগো জোতার বারের বাইরে থেকে দেয়া পাসে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১০৭ তম গোল করেন রোনালদো ।
এরই মাধ্যমে তিনি ২৩ ইউরো ম্যাচে রেকর্ড ১২ টি গোল করলেন এবং এটি জার্মানির বিপক্ষে তার প্রথম গোল। এরপর জার্মান আক্রমণের চাপে ৩৪ মিনিটে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় পর্তুগালের রক্ষণ।
ফলাফল রবিন গুসেনের ক্রসে কাই হাভারটজের গোল এবং ৩৯ মিনিটে কিমিখের ক্রসে আত্মঘাতি গোল করেন রাফায়েল গারেরা। পরে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় ৩৪ মিনিটে কাই হাভারটজের গোলটি আসলে আত্মঘাতি গোল যা ডিফেন্ডার রুবেন ডিয়াজের পা থেকে আসে।বিরতির সময় স্কোর লাইন ছিল ২-১ ।
এরপর প্রথম অর্ধের বিরতির পর জার্মানদের বিপরীতে আক্রমণের ধার বাড়ায় পর্তুগিজরা। কিন্তু ৫১ মিনিটেই মুলারের শটের পর তা গুসেনের কাছে গেলে গুসেনের ক্রস থেকে জার্মানির হয়ে আসরের প্রথম গোল করেন সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ফরওয়ার্ড কাই হাভারটজ। গোলটি তার প্রাপ্যই ছিল ।৬০ মিনিটে আবার কিমিখের ক্রসে ফ্লায়িং হেডার থেকে গোল করেন গুসেন।
৬৭ মিনিটে এক ফ্রি কিকে থেকে আসা বলের উপর দারুণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন রোনালদো। প্রায় লাইনের বাইরে চলে যাওয়া বলটিকে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে পাঠান লিভাপুল স্ট্রাইকার জোতার কাছে।তিনি এটিকে গোলে রূপান্তর করতে ভুল করেন নি।
এরপর পর্তুগাল ম্যাচে ফিরতে চাইলেও আর গোল হয়নি ম্যাচে।মাঝখানে কষ্ট বাড়িয়েছে সাঞ্চেজের ৭৯ মিনিটে নেয়া শট যা বারে লেগে ফিরে আসে।এছারাও গোরেৎজকার ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটটি ঠেকিয়ে দেন পর্তুগালের কিপার। তবে ম্যাচে ৫৮% বল দখলে এবং পাসিং এক্যুরেসি ৯০% থাকলেও জার্মানির ডিফেন্সের ভুল গুলো ছিল স্পষ্ট।রুদ্রিগারের ও গিন্টারের ক্লিয়ারেন্স ও ট্যাকেলের কারনে বিপদ হয় নি।এছারা ৮৮ মিনিটে গিন্টার বল ক্লিয়ার না করলে বিপদ হতে পারত জার্মানির । দুইটি অ্যাসিস্ট ও একটি গোল করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়েছেন রবিন গুসেন ।এদিন রোনালদোকে দেখা গিয়েছিল অনেকটাই তার চিরচেনা রূপে। তবে অনেক দিন পর এই ম্যাচ দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল জার্মান সমর্থকেরা।তবে ম্যাচ দেখাটা চিল বলতেই হবে সকলেই জন্যই সার্থক।
😮