ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো জনপ্রিয় সব ক্ষতিকর গেম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
ওই রিট আবেদনের শুনানিতেই সোমবার এই নির্দেশ দেয়া হল।
আগামী ১০ দিন পর এ সম্পর্কিত নোটিশের উত্তর পাওয়ার পর আরেকটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর পর সে অনুযায়ী, এসব গেমস ও অ্যাপসগুলো বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

মি. কবির বলেন, পাবজির মতো গেমসগুলোতে তরুণ সমাজ আসক্ত হয়ে পড়ছে। এছাড়া এসব গেমসের মাধ্যমে কিশোরদেরকে সহিংসতার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। যার কারণে তারা অর্থ ব্যয় করে এসব গেমস খেলছে। আর এ কারণেই অনলাইনে এসব গেমসকে ক্ষতিকর হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
২০২১ সালের ২৪শে জুন দেশীয় সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিকটক, বিগোলাইভ, লাইকি, পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের মতো গেমসগুলো বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাউছার এই রিট আবেদনটি করেন।

সম্প্রতি নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল, পরে আবার চালু করা হয়।

এসব গেম কোমলমতিদের ওপর মনস্তাত্বিক প্রভাব ফেলছে এবং তরুণদের আগ্রাসী করে তুলছে বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা ।