৪-১ গোলের দারুণ জয় দিয়ে লালীগা অভিযান শুরু করলো রিয়াল মাদ্রিদ
এবারের ট্রান্সফার উইন্ডো টা রিয়ালের জন্য মোটেই ভালো ছিলো না, দলের ডিফেন্সের মুল কান্ডারী রামোস আর ভারানে একই ট্রান্সফার উইন্ডোতে দল ছাড়া রিয়ালের জন্য বড় ধাক্কা ছিলো। নতুন সাইনিং শুধু আলাবা আর লোনে যাওতা ওডেগার্ড, বেল দের ফিরিয়ে এনে দল গুছিয়েছে মাদ্রিদ। গত সিজনের মতো এবারের সিজনের শুরু তে ইনজুরি সমস্যা নিয়েই মাঠে নেছেছে তারা। তাদের ক্যাপ্টেন মার্সেলো, প্রধান লেফট ব্যাক মেন্ডি, মিডফিল্ডার ক্রুস ইনজুরির জন্য বাইরে ছিলো, এছাড়াও ফিটনেস সমস্যায় মাঠে নামতে পারেন নি কার্ভাহাল।
তারপরও সিজনের প্রথম ম্যাচে বেস্ট পসিবল একাদশ নামিয়েছিল কার্লো আনচেলত্তি। নতুন সাইনিং আলাবা কে সেন্টার ব্যাকে খেলানো কথা থাকলেও এদিন তিনি শুরু করেন লেফট ব্যাক হিসেবে। সেন্টার ব্যাকে নাচো আর মিলিটাও এ ভরসা রেখেছিলেন কোচ। খেলার প্রথম ১৫ মিনিটে রিয়ালের খেলায় কিছুটা ভুল পাস লক্ষ্য করা গেলেও সময়ের সাথে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে তারা। প্রথমার্ধে গোলমুখে মাত্র ১ শট নিতে পেরেছিলো মাদ্রিদ।
কিন্তু ২য় অর্ধে অন্য রিয়াল মাদ্রিদ কে দেখা গেছে। ৪৮ মিনিটের মাথায় লুকাস ভাচকেজের পাস হ্যাজার্ড এর অসাধারণ পাসে বেনজেমার ভলিতে প্রথম গোল করেন। এই গোলের পরেই আক্রমণের ধার বাড়ে রিয়ালের। ৫৬ মিনিটে লুকা মদ্রিচের অসাধারণ পাসে বল জালে জড়ান নাচো। ৬২ মিনিটে নিজের ২য় আর দলের ৩য় গোল করেন বেনজেমা। গোল টা বেনজেমা করলেও গোলের কারিগর ছিলেন ফেডে ভালভার্দে। ডিফেন্ডার দের ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে একাই ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি। ৬৪ মিনিটে মিলিটাও এর ব্যাকপাস রিসিভ করতে পারেন নি কোর্তয়া। তার ভুলে পেনাল্টি পায় আলাভেস। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেন নি জোসেলু। ফলে ব্যবধান কমে ৩-১ হয়। কিন্ত ম্যাচে ফিরতে পারে নি আলাভেস। উল্টো ইনজুরি টাইমে ভিনিসিয়াসের গোল ৪-১ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়ালের প্রধান দুশ্চিন্তার জায়গা ডিফেন্সে অসাধারন খেলেছেন নাচো। মিলিটাও কে একটু নার্ভাস লেগেছে। তবে সময়ের সাথে মানিয়ে নিবেন বলে আশা করা যায়।
শুরু টা অসাধারণ হলো রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। ইনজুরি মুক্ত বেল, হ্যাজার্ড খেলতে পারলে ভালো কিছুর আশা করতেই পারেন রিয়াল মাদ্রিদের ফ্যান রা।