কোহলির নিজেকে হারিয়ে ফেলা নিয়ে নানান সমালোচনা এখন একটু একটু করে দেখা দিলেও তার নেতৃত্বে অনেকেরই আপত্তি ছিলো কারণ ভারতের কিংদবন্তী অধিনায়ক মাহেন্দ্রা সিং ধনীর যায়গায় তিনি এসেছিলেন তার দলে থাকা অবস্থায়ই কারো মতে এটা ছিলো প্রস্তুতি কারো মতে এইটা ছিলো বাড়াবাড়ি। তবে এমন দৃশ্য তো ইতিহাসে প্রথম নয় পন্টিং থাকা কালেও ক্লার্ক হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।
কিন্তু কথাটা অধিনায়কত্বের যদি হয় তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে “ক্যাপ্টেন কুল” এর রেখে যাওয়া ভারতকে কেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন ভিরাট কোহলি। তার অধিনায়কত্বে ভারত খেলেছে অনেক ভালো জিতে নিয়েছেও অনেক খেলা তবে যখনই বড় মুহূর্ত এসেছে ভারতের নিজেকে শক্তিশালী প্রমাণ করার ভেঙ্গে পরেছে পুরো দলের মনবল কিন্তু তার আগে ভেঙ্গে পরেছেন তিনি নিজেও। ২০১৭ সালের চেম্পিয়ান্স ট্রফির কথা সবারই মনে আছে একটি ছবি সাথে আমরা পরিচিত প্রায় সবাই কিন্তু ঠিক সেই খেলার একটি ঘটনার সাথে আমরা পরিচিত নাহ কারণ ভারতীয় মিডিয়া সেই ব্যাপারটা নিয়ে খুলে কথাই বলে নি। পাকিস্তানের ইনিংস চলাকালীন শেষের দিকে যখন মোহাম্মাদ হাফিজ তার সর্বোচ্চ দিয়ে দিচ্ছিলেন একটা বিশাল টার্গেট দ্বারা করাতে তখন অধিনায়ক কোহলি ছিলেন বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং এ এবং অধিনায়কের ভূমিকায় ছিলেন মাহেন্দ্রা সিং ধনী। এমন জরুরি ভিত্তিতে নিজের দায়িত্ব পালন করে নিজের টিমকে কনফিডেন্স দিতে অক্ষম ছিলেন কোহলি বহুবার।
শুধু কোহলি অধিনায়কত্বে নয় বড় মঞ্চে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ বাদে কোথাও তিনি খুব বড় কোন অবদান রাখতে পারেননি ভারতের হয়ে। হেমিলটনে আউট হয়েছিলো কোহলি এই জেমিসনের কাছে যে তাকে টেস্ট চেম্পিয়ানশীপ এর ফাইনালে আউট করে ২ ইনিংসে দুইবার। এবং এমন বড় একটা টেস্ট ম্যাচ এর আগে সে Sky Sports কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন যে এটা তার এবং তার দলের কাছে একটি সাধারণ টেস্ট ম্যাচ এর মত। খেলা শুরুর অনেক আগেই স্কোয়াড ঘোষণা করে রেখেছিলো ভিরাট কোহলির ওভারকনফিডেন্ট ভারত যার মূল্য দিতে হয়েছে ট্রফিটি হারিয়ে যেখানে এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে পরিণত দল ছিলো ভারত। এবং তার নেতৃত্বের প্রভাব যে শুধু আজ পড়েছে তা নয় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩৫ রানে অলয়াউট হইয়ে যাওয়া ভারত সেই সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছিলো তাকে ছাড়া। টেস্ট ক্রিকেটে মোমেন্টাম এবং মাইন্ডসেট যে কত প্রয়োজনীয় এটা আজকের নিউজিল্যান্ড কে দেখলেই বোঝা যায়।