বাফুফে নির্বাচনে ৪ দফায় সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কাজী সালাহউদ্দিন এর সফলতা কিংবা প্রাপ্তির তালিকা কতটুকু তা নিয়ে বাংলার ফুটবলভক্তদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সরাসরি ব্যর্থ বলে দিলেও ভুল হবার কথা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই পদের যোগ্য কেউ কি নেই যার দরুন ২০০৮ সাল থেকে এখন অব্দি সভাপতির চেয়ারে কাজী সালাহউদ্দিনই থেকে গেলেন? বিভিন্ন সময় নির্বাচনের আগে কামরুল আশরাফ, বাদল রায় কিংবা শফিকুল ইসলাম মানিক এর নাম শোনা গেলেও কাউ কেই শেষ পর্যন্ত বোর্ড কর্তার আসনে দেখা যায় নি।
ইমরুল হাসান। বসুন্ধরা গ্রুপের ‘ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর’ কিংবা ‘হেড অফ ফিন্যান্স’ পরিচয় ছাপিয়ে বড় পরিচয় বাংলাদেশের বর্তমান ফুটবল সংগঠকদের মধ্যকার এক উজ্জ্বল নাম। বর্তমান চার বাফুফে সহ-সভাপতি দের একজন। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি হিসেবে তার সফলতা নিয়ে কারো মনে সন্দেহ থাকার কথা নয়। বলতে গেলে বসুন্ধরা কিংস তাঁর নিজেরই হাতে গড়া। ২০১৭ সালে প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ পাওয়া এবং পরের বছর অভিষেকেই প্রিমিয়ার লিগে বাজিমাত। এবারের আসরেও রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। এখন পর্যন্ত ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়নি ক্লাবটি কে। দেশসেরা ফুটবলারদের পাশাপাশি উড়িয়ে এনেছেন ব্রাজিল, আরজেন্টিনা ও ইরানের ফুটবলারদের।
প্রশ্ন আসতে পারে বসুন্ধরা গ্রুপের অধীনের এই ক্লাবটির দায়িত্ব বসুন্ধরা পরিবারের সদস্যদের কেউ না হয়ে ইমরুল হাসান কেন?
ইমরুল হাসান নিজে ছিলেন একসময় ফুটবলার। সংগঠক হিসেবেও কাজ করছেন বেশ অনেক দিন ধরেই। ফটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনেও আছে তার কৃতিত্বের ছাপ। বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে তাঁর সম্পর্কটাও আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে। ক্লাব সভাপতি করার প্রতিদানও তিনি দিয়ে যাচ্ছেন যথাযথ ভাবেই।
গত বাফুফে নির্বাচনে ইমরুল হাসান সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে। পুরাতন ফুটবলারদের নথি সংগ্রহ সহ আরো কিছু কার্যক্রম ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছেন। বসুন্ধরা কিংসের মতো বাংলার ফুটবলেও তাঁর অবদান দেখার আশা করা টা দোষের কিছু হবার কথা না। পরবর্তী বাফুফে নির্বাচনে যদি তাঁকে সভাপতি পদে লড়তে দেখা যায় তবে অবাক হবে না ফুটবলভক্তরা। কিংবা এভাবেও বলা যেতে পারে- ইমরুল হাসানের বোর্ডকর্তা হওয়া এখন সময়ের দাবি মাত্র। কে জানে.. হয়তো বাংলার ফুটবলের নতুন অধ্যায়ের সূচনা এই কারিগরের হাত ধরেই হতে যাচ্ছে!
একজন নিবেদিত ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ইমরুল হাসানের কাছে দেশের ফুটবলভক্তদের আশার পারদ টা উঁচু হওয়াটা তাই স্বাভাবিক।
বাংলার ফুটবল কে আরো অনেক কিছু দেওয়ার আছে তাঁর। সবে তো শুরু।