ঠিক যখন বিশ্ব ড্রাইভারস চ্যাম্পিয়নশীপের লিড নিয়ে মাঠ গরম করে ফেলেছে ম্যাক্স ভারস্টাপেন (রেডবুল), সেই সময়টাতেই ব্রিটিশদের রাজ্যে, ঘটালেন এক অঘটন। বিশ্ব ড্রাইভার চ্যাম্পিয়নশীপ লিডার ম্যাক্স ভারস্টাপেন ইতিহাসের প্রথম ড্রাইভার হলেন যিনি, ফর্মুলা ওয়ানের প্রথম স্প্রিন্ট রেইসের পোল সিটার। পোল পজিশনে গ্রেট ব্রিটেন এর দর্শকরা যদিও আশা করেছিলেন লুইসকে, লুইস তার আশা ধরে রাখতে ব্যর্থ হোন।
রেইসের প্রথম ল্যাপ কোপসে কর্নারে গড়াতেই লুইস ইনসাইড লাইন বেছে নিলে, যুদ্ধে ঠিকই লুইস জিতলেন। ইনসাইড লাইনের দিকে ম্যাক্স চাপতেই লুইসের ফ্রন্ট-বামের চাকা লেগে বসলো ম্যাক্সের পেছনের ডান চাকায়। ব্যাস, 51G (প্রায় ৫০০মি/সে^২) সংঘর্ষ ছিটকে দিলো ম্যাক্স ভারস্টাপেন এর গাড়িকে। সেইসময় গ্যালারির দর্শকদের স্তব্ধতাই এর পরিমাণ প্রমাণ করতে পারে।
ক্র্যাশের পর রেড ফ্ল্যাগ করে দেয়া হয় সেশন কে আর ম্যাক্সকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। চেকআপ শেষে সুস্থ অবস্থায় তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন সেদিন সন্ধ্যায়। রেড ফ্ল্যাগ করা সেশন যখন দ্বিতীয়বার শুরু হয়, ফেরারি ড্রাইভার চার্লস ল্যা-ল্যার্ক প্রায় পুরো রেইস জুড়ে লিড পজিশন এ ছিলেন। রেস শেষ করেছেন তিনি লুইসের পেছনেই। পুরো রেইসটি জুড়ে লুইসকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন তার দলের স্ট্র্যাটেজি টিম। ম্যাক্সের ক্রাশে পাওয়া ১০-সেকেন্ড পেনাল্টি পালন করা সহ তিনি ল্যা-ল্যার্ককে ৪ সেকেন্ড পেছনে ফেলে জয় নিশ্চিত করেছেন।
গ্যালারি ভর্তি ব্রিটিশ দর্শকদের সামনে জিতেছেন তাদের লুইস আর পয়েন্ট স্কোর করেছেন ব্রিটিশ ম্যাকলারেনের ল্যান্ডো নরিস। ল্যান্ডো নরিস আবার এই সুযোগে করে বসলেন রেকর্ড। ম্যাকলারেন দলের ইতিহাসে ল্যানডোই প্রথম ড্রাইভার যে টানা ১৫ রেইস জুড়ে পয়েন্ট স্কোর করেই আসছেন। তিনি পেছনে ফেলেছেন ইতিহাসবিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ড্রাইভার ৩-বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এয়ার্টন সেন্নাকে।
মার্সিডিজ আর রেডবুলের মধ্যকার পয়েন্ট দূরত্ব এখন মাত্র ৪। আর ম্যাক্স ও লুইস? মাত্র ৮। দেখা যাক, পরবর্তী রেইস হাঙ্গেরিতে কি হয়!