বয়সের চাপ জেমস এর উপর পরাটা অস্বাভাবিক কিছুনা ৩৯ বয়সী এন্ডারসন ভিরাট এবং পুজারার মত খেলোয়াড়দের দেখাচ্ছেন পেভিলিয়নের পথ। তিনি এখন তার ক্যারিয়ারের সোনালি সময়তেই আছেন এই বয়সেও বল করছেন অনেক পরিবর্তনশীল লাইন এবং সুইং নিয়ে এবং আঘাত হানছেন ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতায়। তারএই বয়সেও ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে বোলিং এভারেজ প্রায় ২৩.৪০ এবং উইকেট নিয়েছেন ৩২টি মাত্র ১০টি টেস্ট খেলে।
জেমস মাইকেল এন্ডারসন অভিষেক করেন ২০০৩ সালে হোম অফ ক্রিকেট লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড এ এরপরে তিনি তার পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই ছিলেন অসাধারণ ফর্মে। একটা প্রচলিত কথা আছে “Form is temporary and class is permanent” এই কথাটি জেনো লেখা হয়েছিলো তার জন্যই। তিনি পৃথিবীর কিংদবন্তি ক্রিকেটারদের সামনে ছিলেন সবসময় শক্তিশালী এবং বার বার ঘায়েল করেছিলেন তাদের।
জেনারেশন থেকে জেনারেশন ব্যাটসম্যানদের দিয়ে গেছেন সমান চ্যালেঞ্জ সেটা ভিরাট কোহলি হোক অথবা শচীন টেনডুলকার। তবে বয়সের ভার তার দক্ষতা এবং যোগ্যতা কে কাবু করতে না পারলেও কিছুটা কাবু করছে তার সামর্থ্যকে। চলমান ভারত সিরিজেই জেমস শুধু ভিরাট কোহলি কেই আউট করেছেন ২ বার এবং পুরো সিরিজে উইকেট নিয়েছেন ১৫টি এবং ভারতকে ৭৮ রানে অল-আউট করার ইনিংস এ তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট।
কিন্তু বিষয়টা এখন হচ্ছে তার সামর্থ্যের তিনি চলমান সিরিজের চতুর্থ টেস্ট এ প্রথম ইনিংস এ বোলিং এভারেজ রেখেছেন ১২.৫৩ এর যা অসাধারণ। কিন্তু ঠিক দ্বিতীয় ইনিংসেই তার এভারেজ গিয়ে দাড়িয়েছে ১০৩.৫০ এ যা প্রায় অনেক বড় ড্রপ। তিনি পুরানো বলেও আগের মত বল করতে পারছেন না।
তবে বয়সের ভার এ তার চেপে পড়ার বিষয়টি শুধু আমাদের নয় চোখে পড়েছে তার কোচ ক্রিস সিলভারউড এরও। সিলভারউড একজন ফাস্ট বোলিং কোচ ছিলেন এরপরে দায়িত্ব পান পুরো দলের এবং ইংরেজড়া তার সাথে দেখা পায় তাদের প্রথম বিশ্বকাপের। তিনি চলমান সিরিজের চতুর্থ টেস্ট শেষে গণমাধ্যম কে বলেন, “ আমি জানি বিষয়টা কেমন, কিন্তু সে এখন কোন খেলা বাদ দিতে চায়না। আমাদের তার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে এখন। যেহুতু পঞ্চম টেস্ট এর মাঝে একটা ভালো সময় আছে এবং তার সামনে আছে সবকিছু। সে এমন একজন যার খেয়াল আমাদের সবসময়ই রাখতে হবে।
জেমস মাইকেল এন্ডারসন এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়া ফাস্ট বোলার তবে আমাদের প্রত্যাশা তার বিদায়টা জেনো হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট নেওয়া বোলার হিসেবে।