ফুটবল নাম উচ্চারিত হলেই যে নামটি সব সময় উচ্চারিত হয় টা হল মেসি , অনেকেই তো আবার সর্ব কালের সেরা তকমাটা ও দিয়েছে ।

কি নেই তার অর্জনে ক্লাব এবং ক্যারিয়ারের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারবে এমন প্লেয়ার খুব কমই আছে , তবে ক্লাব ও নিজ ক্যারিয়ারে সে যেমন উজ্জ্বল ঠিক ততটাই মলীন তার আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার।

যে তার নিজ দেশের হয়ে জিততে পারেনি কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি । সর্বশেষ 1986 সালে তার দেশ আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছে , এখন পর্যন্ত তার দেশ জিতেছে ২ টি বিশ্বকাপের ১৪ টি কোপা আমেরিকা , একটি কনফেডারেশন কাপ । কিন্তু এই প্রথিভাবান খেলোয়াড় একটি ও ট্রফি জিততে পারেনি।

মেসি জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করে ২০০৬ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ থেকে ।

ওয়ার্ল্ড কাপ ক্যারিয়ার

  • ২০০৬ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ সে ৩ ম্যাচ খেলে একটি গোল এবং একটি এসিস্ট
  • ২০১০ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ সে ৫ ম্যাচ খেলে একটিও গোল করতে পারেনি এবং একটি এসিস্ট করেছে
  • ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ ছিল তার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় অর্জন। সে বছর তার পারফরমেন্সে ছিল আকাশচুম্বি একাই তার দলকে টেনেছিল ফাইনালের মঞ্চ পর্যন্ত , কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তার দল পূর্ণ ৯০ মিনিট কোন গোল করতে পারে নি , তাদের প্রতিপক্ষ জার্মানি ও কোনো গোল করতে না পাড়ায় খেলা গড়াই অতিরিক্ত 30 মিনিট সময়ের জন্য তখন ইনজুরি সময়ে জার্মানি জয়সূচক গোল করেন। এবং আর্জেন্টিনা ফাইনালে মঞ্চ থেকে বিদায় নেয়। ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড কাপে মেসি ৭ ম্যাচ খেলে ৪ টি গোল এবং একটি এসিস্ট করে ।
  • ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে মেসি চার ম্যাচ খেলে একটি গোল ও দুইটি অ্যাসিস্ট করে .

অর্থাৎ তার সম্পূর্ণ বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে ১৮ ম্যাচ খেলেন গোল করেছেন ৬ টি এবং এসিস্ট করেছেন ৫ টি । যা বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার খুব একটি ভালো বলা চলে না কারণ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোল ১৬ টি জার্মানির ক্লোজার এবং ১৫ টি ব্রাজিলের রোনালদো। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বরাবরের মতই কখনো ফেভারিট হতে পারে না কারণ তাদের টিম সিলেকশন অনেক দ্বন্দ্ব থাকে অনেক সময় পছন্দের খেলোয়াড় কে জায়গা দেওয়ার জন্য অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় সুযোগ পায়নি।

বার বলব আর্জেন্টিনার এক নির্মম ভাগ্যের গল্প তখন সালটা ছিল ২০১৪ তখন এক অপ্রতিরোধ্য দল ছিল গ্রুপ এফ এর নাইজেরিয়া বস্নিয়া ইরান এই তিন দলকে হারিয়ে গ্রুপ লিডার হিসেবে নকআউট পর্বে যোগদান করে। নকআউট পর্ব অতিক্রম করা তাদের জন্য সহজ ছিল না । নকআউট পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল সুইজারল্যান্ড তাদের সঙ্গে খুব সহজেই জিতে যায় এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বেলজিয়াম। তাদের হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে সেমি ফাইনাল টি ছিল দেখার মতো একটি খেলা ৯০ মিনিটে কোন গোল হয়নি এবং খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে তবুও কোন গোল না হওয়ায় তখন খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার গোলকিপার রোমেরো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স পেনাল্টি শুটআউটে নেদারল্যান্ড কে হারিয়ে 14 সালে তারা ফাইনালে উঠতে সক্ষম হয় এবং ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হয় শক্তিশালী জার্মানি যাদের দখলে ছিল তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে 90 মিনিটে কোন দল গোল করতে পারে নি অতিরিক্ত 30 মিনিট সময় জার্মান মারিও গতজে জয়সূচক গোল করে এবং আর্জেন্টিনাকে আন্তর্জাতিক ট্রফি থেকে আবার দূরে সরিয়ে দেয় এবং মেসির বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি সেখানেই শেষ হয়ে যায়।