শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২১/২০২২ মৌসুমের লিগ । সব লীগের দল মোটামুটি প্লেয়ার ট্রান্সফার করে টিম কে শক্তিশালী বানানোর চেষ্টা করছে । এদের মধ্যে যে দলটি এগিয়ে আছে তা সবাই জানে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন ( PSG ) । ডোনারুমা , ওয়াইনোলডুম , হাকিমি ,রামোস ও দুই দিন আগে মেসি সাইন করে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল বানানোর শীর্ষে রয়েছে। দলটির ফর্মেশন কীরূপ হতে পারে তা দেখা যাক :
৪-২-৩-১ঃ
৪-২-৩-১ হলো পিএসজি এর কোচ পোচেটিনোর পছন্দের ফর্মেশন । এই ফর্মেশনে মার্কিনিওস ও রামোস সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেলবে । রামোস বর্তমানে ইনজুরি তে থাকার কারণে কিমপেমবে তার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে থাকবে । লেফট ব্যাক হিসেবে থাকবে বার্নাট অথবা কুরজাওয়া এবং রাইট ব্যাক হিসেবে থাকবে হাকিমি । ডিফেন্সিভ মিড ও সেন্টার মিড সামলানোর মতো অনেক প্লেয়ার রয়েছে যাদের মধ্যে পারেডেস , ডানিলো , ভেরাটি ,ওয়াইনোলডুম ,গানা গে , হেরেরার নাম আসে । এদের মধ্যে ভেরাটি খেলার প্রাওরিটি বেশি ও ভালো ডিফেন্সিভ ব্যাকআপের জন্য ডানিলো রয়েছে । এছাড়া বক্স টু বক্স মিড খেলার জন্য রয়েছে ওয়াইনোলডুম । মেসি কে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে দেখা যাবে । যেখানে তার দুই পাশে থাকবে নেইমার ও ডি মারিয়া । ফরওয়ার্ড এ থাকবে এমবাপ্পে অথবা ইকার্দি । এই ফর্মেশনে মেসি প্লে মেকারের ভূমিকা পালন করবে । তার সামনে রয়েছে সেরা সেরা প্লেয়ার । এছাড়াও মেসি বল ক্যারি করে বক্সে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ক্যাপাবিলিটি সবচেয়ে বেশি আছে ।এতে করে ওয়াইড প্লেয়ার ফাঁকা হবে এবং মেসির থ্রু পাসের মাধ্যমে তারা চান্স তৈরি করতে পারবে। এছাড়াও নেইমার বেশিরভাগ সময় বিল্ডআপ প্লে তে ইনবল্ভ থাকে ও মেসির সাথে তার কেমিস্ট্রি ভালো হওয়ায় তারা ওয়াণ-টূ করে আগাতে পারবে এবং ডি মারিয়া ও এমবাপ্পে বেশি স্পেস পাবে ও এমবাপ্পে এই চান্স কখনোই হাত ছাড়া করতে চাইবেন না।
৪-৩-৩ঃ
৪-৩-৩ ফর্মেশন খেলার সম্ভাবনা কম হলেও কোচ মেসির অ্যাকচুয়াল পজিশন ধরে রাখার জন্য এই ফর্মেশনে শিফট করতেই পারেন। বার্সার খেলায় মেসি প্রায় সময় মিডে নামে ও বল ক্যারি করে নিয়ে যায় মিড ক্রিয়েটিভিটির অভাব থাকায় ।এতে করে রাইট সাইউ ফাঁকা পড়ে যায় ও এতে করে বেশিরভাগ থ্রেট তৈরি হয় আলবার মাধ্যমে । পিএসজি তে সিচুয়েশন পুরোপুরি আলাদা । কারণ পিএসজি এর মিড অনেক বেশি ডেডলি। পিএসজির অ্যাটাকে মিড অনেক বেশি রেসপন্সিবল । গত সিজনে পাস টার্গেটে মেসি থেকেও এগিয়ে রয়েছে ভেরাটি ,পারেডেস ও গানা গে । আবার মেসিকে ব্যাকআপ দিবে হাকিমি ,যে ডিফেন্সে খেলা সত্ত্বেও জেনুইন থ্রেট ও অ্যাসিস্ট মেশিন । এতে করে মেসি ডিরেক্ট ডি বক্সে ঢুকে প্রতিনিয়ত তার পছন্দের ফিনেন্স শট নিতে পারবে। এছাড়া মেসি ও নেইমার যত বেশি ওয়াইড খেলবে তত বেশি পজিশন শিফট করতে পারবে মিডফিল্ডারদের ক্রিয়েটিভিতির জন্য । এই ফর্মেশনে ওয়াইড এরিয়ার কাউন্টার অ্যাটাক সামলানোর জন্য ডানিলো সেন্টার ব্যাক ও দুই সেন্টার দুই পাশে ছড়িয়ে পড়বে । রামোস ইনজুরি কাটিয়ে উঠলে ডানিলোর জায়গায় মার্কিনিওস কে রিপ্লেস করা যেতে পারে ডিফেন্সিভলি খেলার জন্য । ৪-৩-৩ তে মেসি কে ফলস ৯ হিসাবে খেলালে ব্যাপারটা মন্দ হয় না । মেসি , নেইমার, এমবাপ্পে ভালো আন্ডারস্টেন্ডিং ও লিংকআপ করে তারা তাদের পজিশন শিফট করতে পারবে ও এতে বিরোধী দলের ডিফেন্সে কনফিউশন তৈরি হবে ।
৪-৪-২ঃ
৪-৪-২ আরেকটি অপশন হতে পারে। কেননা গত ম্যাচে এই ফর্মেশনে খেলানো হয়েছিল । এই ফর্মেশনে মূলত নেইমার বা ডি মারিয়ার ভূমিকা বেশি হবে । তারা বল নিয়ে সামনে আগালে ধীরে ধীরে সেটি ৪-৩-৩ এর আকার নিবে এবং মেসি এখানে ফ্রি রোলে চাইলে মিডে আসতে পারবে। মোটামুটি এই ফর্মেশন গুলো কাজে লাগাতে পারে । কোচ পোচেটিনো হাই প্রেসিং খেলাতে পছন্দ করে । সাধারণ ফর্মেশনে মেসি গোল থেকে বেশি অ্যাসিস্ট এর দিকে ঝুঁকে পড়বে । পাস একুরেসি , ড্রিব্লিং কমপ্লিট এসব ঠিকঠাক থাকলে এমবাপ্পে এর রানিং বা ইকার্দি এর স্পেস ফাইন্ডিংয়ের মাধ্যমে বিরোধী দলের গোল কিপার কে বেশিরভাগ সময় বাজপাখির কাজে ব্যস্ত থাকবে ।