সবচেয়ে আনপ্রিডিক্টিবল যদি কোনো লীগকে কল্পনা করা হয় সবার প্রথমেই একটি নাম ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। পুরো মৌসুম জুড়েই একের পর এক দলের শিরোপা জয়ের জন্য প্রতিযোগিতা, কখোনো বিগ ৬ এর লীগে আসা নতুন দলের কাছে পয়েন্ট খোয়ানো কিংবা পুরো মৌসুম জুড়েই লেগে থাকা নাটকীয়তা সব কিছুই পাওয়া যাবে ইপিএল এ । এবার ২০২১-২০২২ সিজনে তো তা আরো তুঙ্গে। শেষ ম্যাচে এসে শিরোপা নির্ধারণ হচ্ছে ইপিএল এর । শেষ ম্যাচে লিভারপুলের জয়ের সাথে সাথে ম্যান সিটির এ্যাস্টন ভিলার কাছে হারটাও অথবা ড্রটাও জরুরী ছিল। লিভারপুল সমর্থকেরা আশায় হয়তো বুক বেঁধেছিলেন তাদেরই কিংবদন্তি খেলোয়াড় এই সিজনে এ্যাস্টন ভিলার কোচ হওয়াতে। শেষমেশ শিরোপা ঘরে তুলল গার্দিওলার ম্যান সিটি। ম্যাচের শুরু থেকেই পিছিয়ে থেকেও ম্যাচটি ৩-২ ব্যবধানে জিতে যায় ম্যান সিটি। ম্যাচে ম্যাটি ক্যাশ ৩৯ মিনিটেই লিড এনে দেয় এ্যাস্টন ভিলাকে। এরপর সদ্যই বার্সেলোনা থেকে ট্রান্সফার হয়ে আসা লিভারপুলের সাবেক খেলোয়াড় ফিলিপে কুতিনহো গোল করেন ৬৯ মিনিটে। লিভারপুল সমর্থকরা তখন এই আশার যদি আর একটা গোল হয় তবে তারাই শিরোপা জিতবে কেননা স্কোর লাইন তখন ১-১। ৭৬ মিনিটে দারুন এক হেড থেকে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ এ নিয়ে আসেন গুন্দোয়াং। সিটির শিরোপার স্বপ্ন তখনও রয়েছেই ।
৭৮ মিনিটেই দারুন এক শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রদ্রি। তখনও লিভারপুলের উলভসের সাথে স্কোর লাইন ১-১। পয়েন্ট সিটির ৯১ আর লিভারপুলের ৯০। কিন্তু ৮১ মিনিটে ডি ব্রুইনার পাস থেকে গুন্দোয়াংয়ের পা থেকে গোল স্কোর লাইনে লিডে চলে আসে সিটি । এরপর ম্যাচে আর সমতায় ফেরেনি এ্যাস্টন ভিলা।
লিভারপুলের ম্যাচে প্রথমেই নেতোর গোলে এগিয়ে যায় উলভস। এরপর ২৪ মিনিটে সমতায় ফেরান লিভারপুলকে সাদিও মানে।
এরপর ৮৪ মিনিটে সালাহ আর ৮৯ মিনিটে রবার্টসনের গোলে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত দুই দলের পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়ায় ১। সিটি ৯৩ এবং লিভারপুল ৯২।ফলে শেষ মেশ শিরোপা উঠল সিটির হাতেই। এদিকে আর্সেনাল, টটেনহাম ও চেলসি তিন দলই জয় পেলেও ম্যান ইউ ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে গেছে। ইপিএল থেকে এবার ইউসিএলে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানসিটি, লিভারপুল,চেলসি আর টটেনহাম। এদিকে ম্যান ইউ আর ওয়েস্ট হাম খেলবে ইউরোপা লিগে। মোটে সাড়ে পাঁচ মিনিটের ঝড়েই লিভারপুলকে বঞ্চিত করে শিরোপা জিতল সিটি।
Hello!
Good luck 🙂