
মিরপুরে আলেশা মার্ট ওয়াল্টন লঙ্কা- বাংলা সিরিজের ২য় ওয়ান্ডে তে বৃষ্টি আইনে ১০৩ রানের জয় পেয়েছে তামিমরা। এ জয়ে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজের ব্যবধান ২-০ করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো টাইগাররা।
১ম ম্যাচের মতো ২য় ম্যাচেও টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। ইনিংসের শুরুতেই কোনো বল খরচ না হয়েই স্কোর বোর্ডে ৫ রান যোগ হয় ইসুরু উদানার ১ম বল নো হওয়ায় এবং তাতে তামিম ইকবালের বাউন্ডারি হাকানোতে। ১ম ওভার থেকে মোট ১৫ রান আসলেও ২য় ওভারের প্রথম বলেই দুশমান্থা চামিরার গুড লেংথের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে আউট হন তামিম ইকবাল (১৩ রান ৬ বলে)। একই ওভারে সাকিব আল হাসানও অনেকটা একইভাবে আউট হন।
এরপর ইনিংসের ১২ ও ১৬ তম ওভারে একে একে লিটন দাস(২৫) ও মিথুনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক(১০) আউট হলে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা (৭৪/৪ ; ১৫.৪ ওভার)।
সেখান থেকে আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ত্রাতার ভূমিকা পালন করে দলকে বিপদমুক্ত করেন দুই ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুজনে ৪র্থ উইকেট জুটিতে ৮৭ রান যোগ করেন ১০৭ বলে।
দলীয় ১৬১ রানে মাহমুদুল্লাহ ৪২(৫৮) রানে আউট হন। এরপর ৩৭ ও ৩৮ তম ওভারে যথাক্রমে আফিফ(১০) ও মিরাজ(০) পরপর দুই ওভারে আউট হয়ে গেলে আবারো বড় সংগ্রহ অনিশ্চিত হয়ে পরে।
তবে প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি করে একপ্রান্ত আগলে রাখেন মুশফিকুর রহিম (১২৫)। সাইফুদ্দিনের সাথে ৪৮ রানের জুটি গড়ে স্কোরকার্ডকে আড়াইশর দিকে দিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৮.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে পেসার চামিরা ও চায়নাম্যান সান্দাকান ৩ টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় কোনো জুটি গড়তে ব্যর্থ হন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থামে সফরকারিদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ওপেনার গুনাথিলাকা।
মিরাজ ও মুস্তাফিজ ৩ টি করে উইকেট নেন, সাকিব ২ টি এবং অভিষিক্ত শরিফুল নেন ১ টি উইকেট।
এ জয়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো বাংলাদেশ।
সিরিজের ৩য় ও শেষ ম্যাচ ২৮ মে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা ১ টায়। প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের হোয়াইট ওয়াশ করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।
২য় ওয়ানডেতে বৃষ্টির হানা
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ২য় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় ২ বার বৃষ্টির জন্য স্বল্প সময় খেলা বন্ধ থাকলেও ম্যাচের ওভার কমানোর দরকার পরে নি।

আবারো মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাটেই মান রক্ষা
১ম ম্যাচের মতো ২য় ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে ৮৪ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত থাকলেও এ ম্যাচে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। খেলেন ১২৫(১২৭) রানের ম্যাচসেরা ইনিংস।

কনকাশন : সাইফুদ্দিনের জায়গায় বোলিংয়ে নামলেন তাসকিন
আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ চলাকালে কোনো প্লেয়ার ইঞ্জুরি তে পরে পুনরায় মাঠে নামতে অসমর্থ হলে তার রিপ্লসমেন্ট হিসেবে একই ক্যাটাগরির অন্য একজন প্লেয়ার কে মাঠে নামানো যাবে, যাকে ক্রিকেটের ভাষায় বলা হয় কনকাশন।। টেস্টের পর এবার ওয়ানডে তেও এই নিয়মের প্রয়োগ দেখা গেল আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ২য় ওয়ানডে তে। ব্যাটিংয়ের সময় চামিরার বাউন্সারে মাথায় আঘাত পাওয়ায় বোলিংয়ে নামতে অপারগ হলে তার জায়গায় তাসকিন আহমেদ কে নামানো হয়।
