জিম্বাবুয়ে সফরের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ১ম ম্যাচে ১৫৫ রানের সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সঙ্গী ছিল সেই চিরচেনা টপঅর্ডার ব্যর্থতা।

হারারেতে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়েন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। সকালের কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা ভালোই করেন স্বাগতিক পেসার মুজারাবানি, চাতারা, গারাভা রা। রানের খাতা খোলার আগেই মুজারাবানির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন কাপ্তান তামিম ইকবাল। উইকেটে থিতু হতে যাবেন এমন সময় সেই মুজারাবানির বলে ক্যাচ দেন ‘অস্থির’ সাকিব আল হাসান (২৫ বলে ১৯ রান)। এরপর একে একে ক্ষণিকের জন্য মাঠে এসে ফিরে যান ‘লর্ড’ খ্যাত মোসাদ্দেক সৈকত ও মোহাম্মদ মিঠুন।

তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন লিটন দাস। ৬ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে ৯৩ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। মাহমুদউল্লাহ ৩৩(৫২) রানে ফিরলেও ক্যারিয়ারের ৪র্থ ওডিআই সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস (১১৪ বলে ১০২ রান)।

শেষদিকে আফিফ (৩৫ বলে ৪৫ রান) ও মিরাজের (২৫ বলে ২৬ রান) দৃঢ়তায় ২৭৭ রানের টার্গেট দাঁড় করাতে সক্ষম হয় টিম টাইগারস।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারানো শুরু করে জিম্বাবুয়ে। শুরু থেকেই ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলেন সাইফুদ্দিন ও তাসকিন। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান চাকাবভা বাদে কেউই উল্লেখ করার মতো তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেন নি। সাকিব ওডিআই তে ৩য় বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন এ ম্যাচে, প্রিয় প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

ফলাফল, ১ম ম্যাচে দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৫ রানের বিশাল জয়! ম্যাচসেরা হন লিটন দাস।

টপঅর্ডারের এমন ব্যর্থতা দিয়ে হয়তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজেই জয় পাওয়া সম্ভব, কিন্তু ক্রিকেট পরাশক্তি তে পরিণত হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
‘দুর্বল’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ থেকেই ব্যাটসম্যানরা অন্তত আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন, ছন্দে ফিরবেন- এমনটা আশা করাই যায়।

সিরিজের ২য় ওডিআই পরশু ১৮ জুলাই হারারেতে বাংলাদেশ সময় বেলা দেড় টায়।