” একসময় জার্মান শক্তিশালি ক্রিকেট পরাশক্তি ছিল, নাজি কিংবা হিটলার এর ক্ষমতায় আরোহনের পর পুরো জার্মানে শুধু ক্রিকেট নিষিদ্ধ নয় বরংচ সকল ক্রিকেটার কে হত্যা করা হয়েছে ” ভারতীয় উপমহাদেশে এমন মিথ না শোনা ক্রিকেট ভক্ত খুজে পাওয়া দুষ্কর। হ্যাঁ, আজকে আমি এমনই এক জার্মান ইতিহাসের আলোচনা করতে যাচ্ছি যার উল্লেখ না ক্রিকেট ইতিহাসে না জার্মান ইতিহাসে আছে। যদিও উপমহাদেশীয় ক্রিকেট ভক্তরা এই ঘটনা খুবই যত্নসহকারে মনে রেখেছে ।

ঘটনা টা এমন ” নাজি জার্মানি তে হিটলার কে একটি পাচ দিনের টেস্ট ম্যাচ দেখার আমন্ত্রন দেওয়া হয়। এবং তিনি সে আমন্ত্রন গ্রহন করেন। যদিও এটা নিশ্চিত করা হয় না খেলা টা কি তিনি পুরো পাচ দিন দেখেছেন না এক দিন সে যায় হোক দুর্ভাগ্যক্রমে জার্মান দল সে ম্যাচের ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়।
এবং এই ঘটনা হিটলার এর কানে গেলে তিনি একে টোটালি ওয়েস্ট অফ টাইম এবং নাজি নীতি বিরুদ্ধ ঘোষানা করে ক্রিকেটার দের হত্যা এবং জার্মানি তে ক্রিকেট নিষিদ্ধ করেন ।

হয়তো হিটলার কে ভাল কোন সিট দেওয়া হয় নি, ভিআইপি সিটে বসে ক্রিকেট বিরক্ত লাগার কথা না। অথবা তিনি সঠিক ফরম্যাট নির্ধারন করতে পারেন নি , আশেজ প্রথম বার দর্শক হিসেবে মন্দ হতোনা কিংবা ওয়ানডে ও তিনি দেখতে পারতেন ।

এই ঘটনা সিনেমা কিংবা মুভি এর জন্য যথার্থ হলে ও ঐতিহাসিক ভাবে কোনই ভিত্তি নেই । সত্যিকারার্থে একটা সময় জার্মানিতে ক্রিকেটের প্রচলন ছিল শুরুটা ধারনা করা হয় ১৮৫০ থেকে। নথিপত্র থেকে দেখা যায় ১৯৪৫ পুর্ববর্তি সময়ে জার্মানি তে চারটা ক্রিকেট ক্লাবের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু কেন ৪৫ পরবর্তি সময়ে ক্রিকেট আর খেলা হতো না কিংবা প্রচলন চলে গেল এর সঠিক কোন উত্তর নেই । তবে কিছু কিছু বই এ দাবি করা হয় ইহুদি হওয়ার কারনে তৎকালীন জার্মান সেরা প্লেয়ার আলবার্ট স্কিমডট ( Albert Schmidt)সহ আরো কয়েকজন প্লেয়ার কে খেলতে দেওয়া হয় নি ।যদিও যুদ্ধ কবলিত অঞ্ছলে কতটুকু খেলা যায় তাও প্রশ্নবিদ্ধ ।

সময়ের পরিক্রমায় জার্মানিতে পেশাদারি ক্রিকেটের প্রচলন কমে গেলে ও ১৯৮০ থেকে আবারো এই খেলার প্রচলন শুরু হয়।
বর্তমানে জার্মানিতে বেশিরভাগ ক্রিকেটার ই দক্ষিন এশিয়ান প্রবাসী। প্রচন্ড পরিমানে ফুটবল পাগল এই দেশে ধীরে ধীরে ক্রিকেটের বিস্তার ঘটছে।