রোমাঞ্চকর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ১ম লেগ এ সিটির হোম গ্রাউন্ডে ম্যানসিটি ৪-৩ গোলে পরাজিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদকে।
ম্যাচের প্রায় পুরোটা সিটি রাজত্ব করে গেলেও তাদের চান্স গুলো কে কাজে লাগাতে পারে নি। মাহরেজ, ফোডিন চান্স গুলো মিস না করলে ম্যাচের ফলাফল এ অনেকটাই এগিয়ে থাকতো সিটি। অপর দিকে রিয়াল মাদ্রিদ কম চান্স পেলেও তার সবটুকু কাজে লাগিয়েছে।
ম্যাচের ১০০ সেকেন্ড না যেতেই ম্যান সিটির রাইট উইংগার রিয়াদ মাহরেজ এর লব পাসে কেভিন ডি ব্রুইনার হেড গোল!
পরবর্তীতে কেডিবির ক্রসে হেসুসের নয়ন জুড়ানো ফিনিশ। আলাবাকে যেনো বল নেওয়ার একদম ই সুযোগ দেয় নি হেসুস।
১ম অর্ধ শেষ হবার আগ দিয়ে বেঞ্জেমার হিমশীতল অন টাচ ফিনিশ মাদ্রিদকে যেনো সস্তি দিয়েছে। মেন্ডির ক্রস থেকে বেঞ্জেমা গোল করেন।
প্রথম অর্ধ ২-১ স্কোরলাইনে শেষ হয়।
২য় অর্ধে শুরুর দিকে ফার্নান্দিনহোর ক্রস থেকে হেডিং গোল করেন ফোদিন। বলতে গেলে মাদ্রিদ তখন মৃত প্রায়। কিন্তু মরতে মরতে ও মরে না মাদ্রিদ…
যে শৈল্পিক ফুটবল দেখার জন্য রাত জাগা মাদ্রিদ ভক্তদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র সত্যি দু নয়ন জুড়িয়ে দিলো…
২য় অর্ধের ৫৪’ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে ভিনির থেকে ১৫ বছর সিনিয়র অভিজ্ঞ ফার্নান্দিনহোর পায়ের ফাঁক দিয়ে বল নিয়ে বোকা বানিয়ে এমন দৌড় দিলো যেখান থেকে গোলে যাওয়া অসম্ভব প্রায়। এজন্য লাপোর্তে, ডিয়াস তো ভেবেই বসেছিল যে ক্রস করবে সে। এজন্য ভিনিসিয়াসের সামনে গেল না। বেঞ্জামা রদ্রিগোকে কভার করলো। কিন্তু নামটা যে ভিনিসিয়াস। ২১ বছরের ব্রাজিলিয়ান ব্লাডের টগবগে যুবক। স্পিড বাড়িয়ে দিলো উসাইন বোল্টের মতো। মাঝমাঠ থেকে বক্সে ঢুকলো একা। ক্রস আসবে? না। সিক্স ইয়ার্ড বক্সের কাছাকাছি চলে গেলো। তারপর চোখ জুড়ানো অসাধারণ এক ফিনিশ। ফুটবল এবং ফুটবলের সৌন্দর্য। বলা যায় গত রাতের সেরা গোল টা ভিনির।
এর পর বার্নারডো সিলভার টপ কর্নারে শট নেওয়া অসাধরণ ফিনিশ সিটি কে ৪-২ গোলের লিড এনে দেয়! একই সাথে বার্নারডোর পার্ফরমেন্স ছিলো অসাধারণ। গত রাতের ম্যান অফ দা ম্যাচ হয় সে।
ম্যাচের ৮০’ মিনিটে আইমেরিক লাপোর্তের হ্যান্ড বল এনে দেয় মাদ্রিদকে এক কন্ট্রোভার্সিয়াল পেনাল্টি। পেনাল্টি স্পট থেকে অসাধারণ প্যানেনকা শটে বেঞ্জেমা মাদ্রিদের ব্যাবধান কে মাত্র এক গোলে নিয়ে যান।
ফুল টাইম: ম্যানচেস্টার সিটি ৪-৩ রিয়াল মাদ্রিদ।
সিটিজেনদের আসাধারণ একটা রাত, সেমিতে এই কম্পিটিশনের কিং রেয়াল মাদ্রিদের জালে ৪ গোল জড়ানো ক্লাসিক। বেশীরভাগেরই আফসোস পুরো ডমিনেটিং পারফরম্যান্সের পরেও ৩ গোল কনসিড অর্থাৎ মাত্র ১ গোলের লিড নিয়ে সেকেন্ড লেগ খেলতে যাওয়া। সিটি স্কোয়াডের দিকে তাকালে মেইন দুই ফুলব্যাককে না পাওয়া, ইঞ্জুরী থেকে হাফ-ট্রেনিংয়ে ব্যাক করা স্টোনসকে রাইটব্যাকে খেলিয়ে ৩৬ মিনিটে হারিয়ে…. ৩৭ বছর বয়সি ফার্নান্দিনহোকে রাইটব্যাকে খেলানোর পরেও এমন জয় নিয়ে পেপ টিমকে নিয়ে তেমন অভিযোগ করার সুযোগ থাকে না। এটা ঠিক সিটি অন্তত ২ গোলের লিডে শেষ করতে পারলে প্রিমিয়ার লীগে কিছুটা রিলাক্সে ফোকাসড হতে পারতো কারণ মাত্র ১ পয়েন্ট নিচেই রয়েছে লিভারপুল।
পরবর্তী ম্যাচ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে! ম্যানসিটি কি পারবে মাদ্রিদকে টপকাতে? ম্যানসিটি জয় পেলেও মাদ্রিদ ঠিকই তাদের কাজটি এগিয়ে রেখেছে। মাত্র ১ গোলের লিড বার্নাব্যুতে কতক্ষণ টিকবে? । দ্বিতীয় লেগ আরো জমজমাট হবে আশা করা যাচ্ছে।
Good post. I learn something new and challenging on blogs I stumbleupon everyday. It will always be interesting to read articles from other authors and use a little something from their sites.