বার্সালোনার ক্যালেন্ডারের পাতায় আলাদা করে চিহ্নিত করে রাখতে হবে গতকালের রাতটি। কারণ এই রাতেই বার্সেলোনা আরও একবার প্রত্যাবর্তন করলো শুরু করলো জাভির অধীনে প্রথম এল ক্লাসিকো জয়। টানা ৫টা এল ক্লাসিকো হারার পর বার্সেলোনা যখন একেবারে ব্যাক ফুটে এমন মুহুর্তে একটা এল
ক্লাসিকো জয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিলো যা জাভির বার্সা দেখিয়ে দিলো। লীগ ওয়ানের এর তারকাবহুল পিএসজিকে হারানো দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ কে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। ৪-০ ব্যাবধানের এই জয় টা বার্সার নতুন পরিচায়ক।
আর এই নতুন দিনের পরিচায়ক ঘটাচ্ছেন যিনি তার কথা যত লিখবো তত ই কম হয়ে যাবে। টেকনিক্যাল মাস্টার ক্লাসে জাভি; কার্লো আঞ্চেলত্তিকে পরাস্ত করে ফেললেন। জাভি বলের আরও একটি রুপ দেখা গিয়েছে এই ম্যাচে।
ম্যাচ শুরু হবার আগে জাভি একটা বড় টেকনিক্যাল দান ফেলেছিলেন তিনি রাইট ব্যাকে দানি আলভেসকে না খেলিয়ে খেলিয়েছেন আরাউহোকে। সেই আরাউহো; প্রতিপক্ষের লেফট উইংগার ভিনিসিয়াস জুনিয়র কে আটকিয়েছেন এবং একটা গোল ও করেছেন। আর পিকে, গার্সিয়াকে খেলিয়েছেন সেন্টার ব্যাক পজিশনে। এই ম্যাচে বিশেষ দুজনের কথা না বললেই নয়; তাদের মধ্যে একজন হলেন অবামেয়াং; যিনি এক জোড়া গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন। আরেকজন হলেন ডেম্বেলে; যিনি দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন। আবার ফেরান টরেস ও গোলের দেখা পেয়েছেন।
প্রথম অর্ধে দুটি হেডিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। প্রথম গোল করেন অবামেয়াং এবং ২য় গোল করেন কর্নার থেকে আরাউহো। দুটি গোলই করিয়েছেন উইংগার ওসমান ডেম্বেলে।
২য় অর্ধে বার্সাকে মনে হয়েছিলো ডিফেন্সিভ খেলবে। কিন্তু জাভির বার্সা আগের অর্ধের মতোই যথেষ্ট এটাকিং এ খেলেছে। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে ফেরান টরেস যেই গোলটা করেছেন সেখানে অবামেয়াং এর ফ্লিপের কথা বার বার মনে পড়ে। কি অসাধারণ টাচ ই লাগিয়েছিলো অবামেয়াং! ৫১তম মিনিটে বার্সেলোনা যে গোল টা করেন তার ক্রেডিট বলতে গেলে পিকের, অসাধারণ লং বল ফেরান রিসিভ করে এবং অবামেয়াং কে পাস দেওয়ায়, অবামেয়াং ক্লিনিক্যাল ফিনিশ করেন। এই গোলের পরই ব্লাউগ্রানার জয় টা সিলগালা হয়ে যায়। বরং পরবর্তীতে আরও কয়টা গোল দিবে বার্সা তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলো মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ গোল্কিপার কর্তোয়া ৬টা সেভ না দিলে হয়তো স্কোরলাইন টা রিয়ালের জন্য আরও লজ্জাজনক হতে পারতো।
মাদ্রিদের মিড যেনো পুরোটাই অগোছালো ছিলো। আঞ্চেলোত্তির কোচিং ট্যাকটিক্স মোটেও কাজে লাগেনি এই ম্যাচে। মদ্রিচকে অনেকটা এডভান্স রোলে খেলানো হয়েছে। মেইন স্ট্রাইকার রদ্রিগোর পিছনের রোলটায় মদ্রিচ খুব একটা সুবিধা করতে পারে নি। একই সাথে ক্রুস, ক্যাসেমিরোকেও দেখা যায় নি তেমন একটা সুবিধা করতে। বার্সার মিডের কাছে যেনো পাত্তাই পায় নি রিয়ালের মিড। ডিজং বুস্কেটস দের সিল্কি পাসিং এবং পেদ্রির ফরোয়ার্ড রোল যেন হারায় মানিয়েছে মাদ্রিদের মিডকে। প্রতিবার ভিনিসিয়াস যখন পিকে এবং আরাউহো এর কাছে পরাস্ত হচ্ছিলো তাও আঞ্চেলোত্তির ট্যাকটিক্সের কোনো ভিন্ন তা দেখা যায়নি। তবে বেঞ্জেমার ইঞ্জুরি ভুগিয়েছে মাদ্রিদকে।
তবে একটা কথা না লিখলেই নয় সেটা হলো যেই মাস্টারমাইন্ড আঞ্চেলোত্তি মেসি, নেইমার, এমবাপ্পের পিএসজির সাথে পিছিয়ে থেকেও কামব্যাক করে জিতে গিয়েছিলো; সেই আঞ্চেলোত্তির ট্যাকটিক্স যেন জাভি বইয়ের মতো খুলে ফেলেছেন গত কালের ম্যাচে।
বার্সার ইতিহাসের এই ম্যাচটি আইকনিক ম্যাচ হিসেবে থেকে যাবে।
Good post. I learn something new and challenging on blogs I stumbleupon everyday. It will always be interesting to read articles from other authors and use a little something from their sites.