করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের। গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, এ পর্যন্ত ২ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছে। এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যানে নগন্য হলে ও বেশ আতংক ছড়াচ্ছে এই ফাঙ্গাস ।


এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নতুন হওয়াই অনেকের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। সংক্রমণ শুরুর পর প্রশ্ন উঠছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি ছোঁয়াচে? এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ কি একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়?


সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের পরিচালক ও চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রামক নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণঝুঁকি বাড়ে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ ডায়াবেটিক অথবা স্টেরয়েড নেওয়া রোগী।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রামক নয়। কিন্তু বাতাসে ভেসে থাকা ফাঙ্গাল স্পোরের মাধ্যমে এই ফাঙ্গাস ছড়াতে পারে। উল্লেখ্য, মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে।


কিন্তু শরীরে বিদ্যমান রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার কারণে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে না। কিন্তু যখন শরীরে অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েড প্রয়োগ করা হয়, ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয় বা কোনো ব্যক্তি যখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে, শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস বিস্তার লাভ করার সুযোগ পায়।

এ জন্য বেশ কিছু সতর্কর্তা উল্লেখ করা যায় মুখমণ্ডলের কোনো অংশ ফুলে যাওয়া বা ব্যথা, একটানা মাথাব্যথা, নাক বন্ধ থাকা এবং চোখের যেকোনো সমস্যা হলে এ নিয়ে হেলাফেলা না করা। দ্রুততম সময়ে এই ফাঙ্গাস চিহ্নিত করা সম্ভব হলে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায় এবং এতে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও বাড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।