বার্সেলোনায় এসে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৬টা ম্যাচে স্টার্ট করে ৭ টা গোল তার মঝে আবার একটা হ্যাট্রিক! ৩২ বছর বয়সী অবামেয়াং এর বার্সায় ক্যারিয়ারের শুরুটা এর চেয়ে দারুণ ভাবে হওয়া হয়তো সম্ভব ছিলোনা!
ইপিএল এ থাকাকালীন তার অফফর্ম নিয়ে হাস্যরসের কমতি ছিলোনা, সাথে এই মৌসুমের খেলায় তার ডিরেক্ট কন্ট্রিবিউশন বলতে গেলে ছিলো শূন্য। এছাড়া গানারদের কোচ আর্তেতার সাথে তার বোঝা পরা ছিলো অনেকটাই সাপে-নেউলের মতো!
অথচ অভিজ্ঞ ফিনিশার অবামেয়াং এর স্কিলকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে জাভি।অবামেয়াং এর দারুণ পজিশনিং এর জন্য আক্রমণভাগে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে দল, সাথে বিপক্ষ দলের ডি-বক্সে স্ট্রেচ করা অবামেয়াং অনেকটা নিচে নেমে বল প্রেসিং করে বিপক্ষ দলের বিল্ড আপ নষ্ট করে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি করছে।
এক্ষেত্রে মাঠের ডান পাশে আদামা, দানি আলভেজ কিংবা দেস্ট আবার বাম পাশে ডেম্বেলে কিংবা ফেরান, আলবার সাথে লিংক করে স্পিড আর পজিশনিং দিয়ে ওপেন স্পেসের সদ্ব্যবহার করছে অবামেয়াং। একইসাথে আলবা, ফ্রেনকি, বুসির দেওয়া ভিশনারি পাস গুলোও কাজে লাগাচ্ছে অবামেয়াং, অপোনেন্ট ডিফেন্স লাইনে ত্রাস সৃষ্টি করতে অবামেয়াং এর মতো প্রোফিলিক ফিনিশার প্রয়োজন ছিলো দলে।
২০২০ সালে ব্লাউগ্রানার লাল নীল শিবির থেকে শেষ দশকের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার উরুগুইয়ান লুইস সুয়ারেজ চলে যাওয়ার পর থেকে দলে যোগ্য ফিনিশারের বড়ই অভাব। যেই ফিনিশারের অভাব পূরণ করতে পারেননি লুক ডি জং, গ্রিজম্যানরা সেই ফিনিশারের অভাব কি পুরণ করতে পারবে অবামেয়াং? এই গোল স্কোরিং ফর্ম কি তার ই জবাব দিচ্ছে? তাহলে বার্সেলোনা কি তাদের যোগ্য স্ট্রাইকার খুজে পেয়েছে?
কালাতান দের দরকার ছিলো একজন গোল পোচার, যে ফিনিশ করতে পারবে মিড থেকে আশা জাদুর থ্রু পাস গুলোকে এবং উইং, ওয়াইড এরিয়া থেকে আশা বিপদজনক ক্রস গুলোকে। জাভির স্ট্রাটেজি অনুযায়ী ট্রান্সফার মার্কেটে বোর্ড পার্ফেক্ট টাচলাইন ফিনিশারকে খুঁজে এনেছে। এবং তার রেজাল্ট মাঠেই, নতুন অবামেয়াং কে দেখছে সবাই যে তার এবিলিটি ব্যবহার করে নিজেকে ব্লাউগ্রানার যোগ্য খেলোয়াড় বানিয়ে নিচ্ছে।
Good post. I learn something new and challenging on blogs I stumbleupon everyday. It will always be interesting to read articles from other authors and use a little something from their sites.