টুর্নামেন্টের শুরুতে যে কয়েকটা দলকে ফেবারিট এমনকি শিরোপার দাবিদার মনে করা হয়েছিল ইংল্যান্ড তাঁদের মধ্যে অন্যতম। টুর্নামেন্টের শুরুটাও তেমনই হয়েছিল। সেই ইংলিশ সিংহদের গর্জনকে আগেই রূখে দিয়েছিল গ্রুপের শেষ ম্যাচে সাউথ আফ্রিকা । এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় হলো থ্রি লায়নসদের । এর মাধ্যমে নিউজিল্যান্ড ২০১০ টি টোয়িন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের এবং ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতিশোধ নিয়ে নিল। ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড জিতে নিয়েছে ৫ উইকেটে।

4571 - ArenaHype

শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচে নিউজিল্যান্ড টস জিতেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৬৭ রান তুলতে পারলেও পরে মঈন আলির ৩চার ও ২ ছয়ে ৩৭ বলে ৫১ , ডেভিড মালানের ৪ চার ও ১ছয়ে ৩০বলে ৪১ রান এবং শেষ দিকে লিয়াম লিভিং স্টোনের ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে ৯৯ রান তুলে নেয় ইংরেজরা। ফলে ইংলিশদের পুঁজি দাঁড়ায় ১৬৬/৫। সবচেয়ে কম ইকোনোমিতে বল করেন টিম সোধি।

১৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমে ক্রিস ওকসের ওভারেই ৩য় বলে মার্টিন গাপটিলের উইকেট হারায় নিয়জিল্যান্ড। এরপর সেই ক্রিস ওকেসের বলেই ২.৪ ওভারে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কেন উইলিয়ামসন। এরপর দেভিন কনওয়ে ও ডাইরাল মিচেলের ৬৬ বলে ৮২ রানের পার্টনারশিপের মাধ্যমে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয় নিউজিল্যান্ড। এরপর ১৩.৪ ওভারে ৩৮ বলে ৪৬ করা ডেভিন কনওয়ের বিদায়ের পর ৯ বলের মাথায় মাত্র ২ রান করে গ্লেন ফিলিপ আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৬ তম ওভারে রান আসে মাত্র ৩। এরপর অনেকটা মনে হচ্ছিল ম্যাচ থেকে কিউইরা ছিটকে গেছে । কিন্তু ক্রিস জর্ডানের ১৭ ওভারে জিমি নিশাম আর ডাইরাল মিচেল মিলে নেন ২৩ রান। ফলে ম্যাচের আশা বাঁচিয়ে তুলে নিউজিল্যান্ড। এরপর ১৮ নং ওভারে আদিল রশিদকে শেষ বলে অধিনায়ক মরগানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফিয়ে যান ৩ ছক্কা আর ১ চারে ১১ বলে ২৭ রান করা জিমি নিশাম । শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল কিউইদের। ১৯ তম ওভারে বল করতে আসেন প্রথমেই দুই উইকেট তুলে নেয়া ক্রিস ওকস। সেই ওভারেই ৩ ছক্কায় ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে চলে আসে নিউজিল্যান্ড। শেষ বলে চার হলে ৬ বল বাকি রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় কিউইরা।শেষ ৩ ওভারেই তার ৬০ রান তুলে নেয় যেখানে ৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬০ রানের ।শেষ পর্যন্ত ডাইরাল মিচেল অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৭২ বলের ইনিংস খেলে। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন ডাইরাল মিচেল । আর এতেই লেজ গুটিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল ইংলিশ সিংহ ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড
ইংল্যান্ড মঈন আলি – ৫১(৩৭)* , ডেভিড মালান- ৪১(৩০) জিমি নিশাম -১/১৮(২) ,টিম সোধি-১/২৪ (৪)
নিউজিল্যান্ড ডাইরাল মিচেল-৭২(৪৭)* ,ডেভিন কনওয়ে-৪৬(৩৮), জিমি নিশাম-২৭(১১) লিয়াম লিভিংস্টোন-২/২২(৪), ক্রিস ওকস- ২/৩৬(৪)