স্পানিশ সুপার কাপ এর এবারের আসরে এসেছে ভিন্নতা। দুই দলের পরিবর্তে চারদলের টুর্নামেন্টে পরিণত করা হয় এবং স্পেনের বদলে আসর বসে সৌদি আরবে(সৌদি আরব স্পানিশ সুপার কাপ এর ৩টি আসর আয়োজন করবে)। যদিও এতে অনেকেই একে সৌদি আরবের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কৌশল হিসেবে উল্লেখ করছেন। এবারের এল ক্লাসিকো সেই সব কিছুর উর্ব্ধে উঠে উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচে পরিণত হয়। মেসি রোনালদো বিহীন এল ক্লাসিকো তেমন উত্তাপ ছড়াবে না বা ম্যাচটা ম্যাড় ম্যাড়ে হবে যারা ভেবেছিলেন তাদের সব ধারণা ভুলে যেতে হয়েছে। পুরো ম্যাচজুড়ে অনিশ্চয়তায় রেখে শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচটি জিতে নেয় ৩-২ গোলে।
I think the team is prepared for this type of match. It was going to be a very even match. We were very effective at the start and on the counter. We failed to concede goals due to fatigue. The counter-attack was very effective. Good image of Spanish soccer. Barcelona played well and the match was very even. They caused us problems in the crosses, something they don’t usually do
ম্যাচ শেষে কার্লো আনচেলেত্তি

জাভির কোচ হিসেবে প্রথম এল ক্লাসিকো ছিল এটা। ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চালাতে থাকে। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই অ্যাসেনসিও সুযোগ পান। কিন্তু পোস্টের বাইরে দিয়ে শট করে তা নষ্ট করেন। এরপর ম্যাচের ২৫ মিনিটে আসে প্রথম গোল। একক চেষ্টায় গোল করেন ভিনিসিয়াস জু. । এগিয়ে যায় লস ব্লাঙ্কোসরা। ২৯ মিনিটে ও ৩২ মিনিটে লুক ডি জং দুইবার ক্রস থেকে পাওয়া বল জালে জড়ানোর সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হন। শেষ মেশ ম্যাচের দ্বিতীয় গোল আসে লুক ডি জং এর পা থেকেই । ম্যাচের তখন বয়স ৪১ মিনিট। ডেম্বেলের বাড়ানো বল থেকে গোল করে সমতায় ফেরান বার্সাকে। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে পেদ্রি আসেন । আক্রমণের ধার বাড়ায় বার্সা। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেন ডেম্বেলে,পেদ্রি,গাভিরা। রিয়াল মাদ্রিদও প্রতি আক্রমণে উঠার চেষ্টা করে।ফল স্বরূপ ৬৮ মিনিটে বেনজেমার একটি দারুণ শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে।এরপর ৭২ মিনিটে মেন্ডির বাড়ানো বলে আবারো শট বেনজেমার, কিন্তু তা ফেরত আসে, বল যায় কারভাজালের পায়ে,তা থেকে ক্রসে আবারো বেনজেমা। আবার আর ভুল করেননি বেনজেমা। একদম নিখুঁত লক্ষ্যভেদ। ফের এগিয়ে যায় রিয়াল। ৭৭ মিনিটে মাঠে সাবস্টিটিউট হন ডিপাই এবং আনসু ফাতি। ৮০ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন পেদ্রি। ৮২ মিনিটে রিয়ালের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ভাল্ভার্দে।৮৩ মিনিটে শর্ট কর্ণার থেকে বুসকেটাসের ক্রসে বাড়ানো বলে হেড করে বার্সাকে সমতায় ফেরান আনসু ফাতি। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর গোল হয়নি। খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। ৯৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে রিয়ালের জয়সূচক গোলটি করেন ভাল্ভার্দে।এরপরও বার্সা চেষ্টা করেও আর গোল করতে পারে নি। এতেই সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় হয় বার্সার এবং ৩-২ গোলের এই জয়ের মাধ্যমে রিয়াল তাদের ১০০তম এল ক্লাসিকোতে জয় লাভ করে। বার্সার জয় ৯৬ টিতে। আগামী ১৬ জানুয়ারি ফাইনালে ২য় সেমিফাইনালে জয়ী দলের সাথে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। খেলা রাত ১টায়।