খেলাধুলা মানুষের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ খেলাধুলা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কমই আছে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা প্রচলিত রয়েছে তার মধ্যে কিছু খেলা আঞ্চলিক এবং কিছু খেলা আছে আন্তর্জাতিক/ আজকের দশটি বহুল প্রচলিত আন্তর্জাতিক মহলে এমন খেলা গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে নিচে বহুল জনপ্রিয় দশটি খেলার নাম দেওয়া হল।
১. ফুটবল :
ফুটবল একটি দলগত খেলা। এটি বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় খেলা। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা) কর্তৃক পরিচালিত ক্রীড়ার আনুষ্ঠানিক নাম। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় খেলাটি সকার নামে পরিচিত
এটি দুই দলের মধ্যে খেলা হয়, যার প্রতিটি দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। একবিংশ শতকে এসে ফুটবল খেলা দুই শতাধিক দেশের ২৫০ মিলিয়নেরও অধিক খেলোয়াড় খেলে থাকেন। এর ফলে ফুটবল বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রচলিত খেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সারাবিশ্ব 250 মিলিয়ন মানুষ ফুটবল খেলে। এবং ফুটবল ফ্যান সংখ্যা চার বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি।
২. ক্রিকেট:
ক্রিকেট হচ্ছে ব্যাট ও বলের একটি দলীয় খেলা যাতে এগারো জন খেলোয়াড় বিশিষ্ট দুটি দল অংশ নেয়। ব্যাটিং দলের দুইজন মাঠে থাকবে এবং ফিল্ডিং দলের 11 জন মাঠে থাকবে। সাথে থাকে দুজন অ্যাম্পিয়ার এবং একজন থার্ড অ্যাম্পিয়ার। 22 গজ পিচে বলার বল করবে এবং ব্যাটসম্যান ব্যাট করবে।
এই খেলার উদ্ভব হয় ইংল্যান্ডে। পরবর্তী ব্রিটিশ উপনিবেশ গুলো সহ অন্যান্য দেশগুলোতে এই খেলা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার লাভ করে চলছে ।
এই খেলা তিনটি বিভাগে হয় , টি২০, একদিনের ম্যাচ, টেস্ট
বর্তমানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ খেলে থাকে।
২০০৫ সাল থেকে জিম্বাবুয়ে স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখে ২০১১ সালে আবার খেলায় ফিরে আসে।
টেস্ট খেলুড়ে দেশ গুলো ছাড়াও আইসিসি অনুমোদিত আরো দু’টি দেশ অর্থাৎ মোট ১২টি দেশ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে ।
কয়েকশ’ বছর ধরে ক্রিকেট একটি দলীয় খেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটির আধুনিক রূপের সূত্রপাত হয় ইংল্যান্ডে এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর মধ্যে এই খেলা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট অধিক জনপ্রিয় খেলা। বিভিন্ন অঞ্চল যেমনঃ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, বারমুডা এবং ক্যারিবিয়ানের ইংরেজিভাষী দ্বীপ রাষ্ট্র সমূহে ক্রিকেট একটি প্রধান খেলা। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশগুলো একত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামে বিশ্বে ক্রিকেট খেলে থাকে। নেদারল্যান্ড, কেনিয়া, নেপাল ও আর্জেন্টিনা প্রভৃতি দেশে বিভিন্ন অ-পেশাদার ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া একশর বেশি ক্রিকেট-খেলুড়ে দেশ রয়েছে যারা বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সদস্য।
সারাবিশ্বে ক্রিকেট প্রায় 2.4 মিলিয়ন বা 240 কোটি মানুষ ক্রিকেট খেলা দেখে।
৩. বাস্কেটবল:
বাস্কেটবল হল সারা বিশ্বের তৃতীয় বহুল জনপ্রিয় খেলা। সারা বিশ্বে প্রায় 2.4 বিলিয়ন বা 240 কোটি মানুষ বাস্কেটবল বল খেলা দেখে।
বাস্কেটবল অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। গোলাকৃতি, কমলা রঙের বল দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ – উভয় প্রকার মাঠে খেলা হয়ে থাকে। দলগত ক্রীড়া হিসেবে বাস্কেটবলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোর্টে উলম্বভাবে স্থাপিত একটি বাস্কেট বা ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ এর মাধ্যমে পয়েন্ট সংগ্রহ করা। নির্দিষ্ট আইন-কানুন অনুসরণ করে সর্বাধিক পয়েন্ট সংগ্রহকারী দল খেলায় বিজয়ী ঘোষিত হয়। সাধারণত প্রত্যেক দলে ৫ জন খেলোয়াড় থাকে। চতুর্ভূজ আকৃতির বাস্কেটবল কোর্টের উভয় দিকের শেষ প্রান্তে বাস্কেট ঝুলিয়ে রাখা হয় যা রিম নামে পরিচিত।
বাস্কেটবল খেলার প্রধান উপকরণ হিসেবে বলে বাস্কেটবল নামে আখ্যায়িত করা হয়। ১৮৯১ সালে ম্যাসাচুসেটস স্প্রিংফিল্ডের ড. জেমস নাইজস্মিথ নামীয় একজন অধ্যাপক এ ক্রীড়া উদ্ভাবন করেন। গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের অন্যতম ক্রীড়া হিসেবে বিবেচিত। প্রমিলা বাস্কেটবল সমান জনপ্রিয়; তবে পুরুষদের তুলনায় কম জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
৪. হকি:
হকি সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে ফিল্ড হকি ও আইস হকি। তবে ফিল্ড হকে বহুল জনপ্রিয়।
৪.১. ফিল্ড হকি
ফিল্ড হকি নুড়ি, প্রাকৃতিক ঘাস, বালি বা পানি আচ্ছাদিত কৃত্রিম মাটির উপর ৭৩ মিলিমিটার পরিসীমা বিশিষ্ট ছোট ও শক্ত বল দিয়ে খেলা হয়। এটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনায় পুরুষ ও নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি খেলা। বেশিরভাগ দেশেই যেকোন এক লিঙ্গের অর্থাৎ পুরুষ বা নারীর মধ্যে আলাদা আলাদা ভাবে খেলা হয়, যদিও খেলাটি দুই লিঙ্গের সমন্বয়ে দেখা যায়।
৪.২. আইস হকি
আইস হকি বৃহৎ বরফাচ্ছাদিত এলাকায় তিন ইঞ্চি পরিসীমা বিশিষ্ট তাপ দিয়ে সংযুক্ত রাবার ডিস্ক দিয়ে স্কেটারদের দুই দলের মধ্যে খেলা হয়ে থাকে। এই রাবার ডিস্ককে পাক বলা হয়। এই পাকটিকে উচ্চ স্তরের খেলার পূর্বে ঠান্ডা করা হয় যাতে এর বাউন্সিং এর মাত্রা কমে ও বরফের ঘর্ষণ কম হয়। এই খেলাটি উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের সর্বত্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভিন্ন মাত্রায় খেলা হয়। এই খেলাটি কানাডা, ফিনল্যান্ড, লাটভিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয়। আইস হকি লাটভিয়ার জাতীয় খেলা এবং কানাডার শীতকালীন জাতীয় খেলা।
সারা বিশ্বে প্রায় 2 বিলিয়ন বা 200 কোটি মানুষ হকি খেলা দেখেন।
৫. টেনিস:
টেনিস বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়া। লন টেনিস নামেও বিশ্বের অনেক দেশে এ খেলার পরিচিতি রয়েছে। যিনি এ খেলায় অংশগ্রহণ করেন, তিনি ‘টেনিস খেলোয়াড়’ নামে পরিচিতি পান। টেনিস খেলার জন্য প্রয়োজন হয় তারযুক্ত একটি দণ্ড যা ‘র্যাকেট’ নামে পরিচিত, একটি বল এবং জাল। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ইউএস ওপেন – টেনিসের চারটি বড় প্রতিযোগিতা, যা প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রত্যেক প্রতিযোগিতাই গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা নামে পরিচিত।
রাফায়েল নাদাল, পিট সাম্প্রাস, ইভান ল্যান্ডল, বরিস বেকার, রজার ফেদেরার, নোভাক জকোভিচ, ভেনাস উইলিয়ামস, সেরেনা উইলিয়ামস, মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, স্টেফি গ্রাফ, মনিকা সেলেস, মারিয়া শারাপোভা, মার্টিনা হিঙ্গিস প্রমূখ বিশ্বের খ্যাতনামা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত হয়ে আছেন স্ব-মহিমায়।
সাধারণত দুইভাবে টেনিস খেলা হয়:-
- একক (একজন বনাম একজন)
- দ্বৈত (দুইজন বনাম দুইজন)
এছাড়াও, ডাবলসে পুরুষ ও নারী নিয়ে গঠিত দল মিক্সড ডাবলস নামে পরিচিত।
টেনিস সাধারণত দ্বৈত এবং একক ভাবে খেলা হয় সারাবিশ্বে টেনিস খুবই জনপ্রিয় খেলা বিশ্বের প্রায় 1 বিলিয়ন অর্থাৎ 100 কোটি মানুষ টেনিস খেলা দেখেন।
৬. ভলিবল:
অলিম্পিক গেমসের খেলা যা দুই দলেরই ছয় জন করে খেলোয়াড় থাকে। নেট দিয়ে বিভক্ত করা কোর্টের দুই প্রান্তে খেলোয়াড়েরা থাকে এবং তাদের উদ্দেশ্য থাকে প্রতিপক্ষ দলের সীমানার মধ্যে বলকে ভূমিতে স্পর্শ করার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করা।
ভলিবল দুটি টিমের মাধ্যমে খেলা হয় যেখানে নেটের দুই পাশে দুই টিমের খেলোয়াড়রা থাকে এবং একটি বল হাতের মাধ্যমে করে খেলতে হয় এবং পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। সারা বিশ্বে 90 কোটি মানুষ সরাসরি ভলিবল খেলা দেখে
৭. টেবিল টেনিস:
টেবিল টেনিস বা পিং পং (ইংরেজি: Table tennis, Ping Pong) বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের নিকট অত্যন্ত পরিচিত। ব্যক্তিগত কিংবা দলগত বিষয় হিসেবে এ খেলা টেবিলের উপরের অংশে খেলতে হয়। এছাড়াও, খেলার উপকরণ হিসেবে ব্যাট, ছোট বল, জাল এবং টেবিলের প্রয়োজন পড়ে। ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডে টেবিল টেনিসের উৎপত্তি ঘটে। আধুনিক অলিম্পিকে এ ক্রীড়া ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয়। বিশ্বের অধিকাংশ সেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় চীন দেশের জন্মগ্রহণকারী। অন্যদিকে, ইউরোপীয় দেশের মধ্যে জার্মানির অন্যতম।
আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিস ফেডারেশন বা আইটিটিএফ টেবিল টেনিসের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন, হংকং এবং তাইওয়ানে এ খেলার আনুষ্ঠানিক নাম হচ্ছে পিং পং কিউ (乒乓球)। অন্যদিকে জাপানে খেলাটি তাক্কিও (卓球) নামে পরিচিত।
বিশ্বে 850 কোটি মানুষ এই খেলা দেখে থাকে।
৮. বেসবল:
বেসবল ব্যাট ও বলের একটি দলীয় খেলা যাতে নয়জন খেলোয়াড় বিশিষ্ট দুইটি দল অংশ নেয়। নিক্ষিপ্ত বলে ব্যাট দ্বারা আঘাত করে একটি ৯০ ফুটের রম্বসাকৃতি অংশের চারকোণায় চারটি বেস স্পর্শ করে রান নেয়ার মধ্য দিয়ে খেলাটি সম্পন্ন হয়। ব্যাটিং দলের খেলোয়াড়েরা ফিল্ডিং দলের পিচারের বলের মোকাবিলা করে। পিচার বিভিন্ন উপায়ে ব্যাটিং দলের খেলোয়াড়দের আউট করতে সচেষ্ট হয়। ব্যাটিং দলের একজন খেলোয়াড় যেকোন বেসে থামতে পারেন এবং পরবর্তী সময়ে দলের সহখেলোয়াড়দের হিটের মাধ্যমে বা অন্যান্য উপায়ে পুনরায় এগিয়ে যেতে পারেন। ফিল্ডিংরত দল তিনটি হিটার আউট করলে একটি ইনিংসের সমাপ্তি হয়। মোট নয়টি ইনিংস নিয়ে একটি পেশাদার বেসবল খেলা সম্পন্ন হয়। যে দল এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করতে পারে সেই দল বিজয়ী বলে বিবেচিত হয়।
পুরাতন ব্যাট-বলের খেলা হতে বিবর্তিত হয়ে বেসবলের প্রথমদিককার সংস্করণ সৃষ্টি হয়, যা ইংল্যান্ডে অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে খেলা হত। অভিবাসীরা উত্তর আমেরিকায় খেলাটির প্রচলন ঘটায় এবং সেখানেই এর আধুনিক সংস্করণ সৃষ্টি হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিক হতে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় খেলা হিসেবে পরিচিতি পায়। বেসবল বর্তমানে উত্তর আমেরিকায়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায়, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে জনপ্রিয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়, পেশাদার মেজর লীগ বেসবল দলগুলো জাতীয় লীগ ও আমেরিকান লীগে বিভক্ত, যার প্রতেকটিতে আবার পূর্ব, পশ্চিম ও মধ্য এ তিনটি বিভাগ রয়েছে। বিশ্ব সিরিজে প্লে-অফের মধ্য দিয়ে মেজর লীগের বিজয়ী নির্ধারিত হয়। প্রতেকটি লীগ হতে পাচঁটি করে দল প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেঃ তিনটি বিভাগীয় জয়ী দল ও সাথে দুইটি ওয়াইল্ড কার্ড প্রাপ্ত দল। জাপান ও কিউবাতেও বেসবল দেশগুলোর প্রধান দলগত খেলা। উভয় দেশেই শীর্ষ পর্যায়ে খেলাটি দুইটি লীগে বিভক্ত। জাপানে কেন্দ্রীয় লীগ ও প্রশান্ত বা প্যাসিফিক লীগ এবং কিউবাতে পশ্চিম লীগ ও পূর্ব লীগ।
বেসবল খেলার জন্য প্রয়োজন একটি ব্যাট বল এবং একটি বড় খেলার মাঠ । এটি একটি আয়তো কার মাঠে খেলতে হয় সারা বিশ্বে 50 কোটি মানুষ বেসবল খেলে থাকে এটি আমেরিকা এবং জাপানে বহুল প্রচলিত গেম
৯. গলফ:
গল্ফ ক্লাব ও বলের একটি খেলা, যাতে খেলোয়াড়েরা ক্লাবের সাহায্যে বলটিকে নির্দিষ্ট গর্তে (hole) ফেলার চেষ্টা করেন। গল্ফ খেলোয়াড়দের বলা হয় গল্ফার। আর দশটি বলের খেলার মত গলফ মাঠের কোন নির্দিষ্ট আকৃতি থাকে না। গল্ফ খেলা হয় খোলা মাঠে, যাকে গল্ফকোর্স বলা হয়। একটি গলফ কোর্সে সাধারণত ৯ থেকে ১৮ টি গর্ত থাকে। প্রতিটি গর্তের জন্য একটি করে টি বক্স থাকে, যেখান থেকে খেলা শুরু হয়।
গল্ফের একটি খেলা একক এবং দলগত দুই রকমই হতে পারে। একক খেলায় যে খেলোয়াড় সবচেয়ে কম সংখ্যক আঘাতে (stroke) সকল গর্ত জয় করতে পারেন, তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এটিকে বলা হয় স্ট্রোক প্লে (stroke play)। অপরদিকে দলগত খেলাকে বলা হয় ম্যাচ প্লে (match play) যাতে সবচেয়ে বেশি গর্ত জয় করা দল বিজয়ী ঘোষিত হয়।
গলফ একটি প্রফেশনাল খেলা এটি সাধারণত উচ্চবিত্তদের খেলা বলা হয়। এটি হাইক্লাস সোসাইটির লোকেরা বেশি খেলে এবং কিছু অলিম্পিক সহ অন্যান্য ইভেন্টেই খেলা হয়ে থাকে সারাবিশ্বে 45 কোটি মানুষ এই খেলা দেখেন এটি ইউরোপে বহুল প্রচলিত
১০. আমেরিকান ফুটবল:
রাগবি ফুটবল (ইংরেজি: Rugby football) এক ধরনের দলগত খেলা যা বিশ্বের সর্বত্র কম-বেশি খেলা হয়ে থাকে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ শতাধিক দেশের ক্রীড়াপ্রেমী জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন। এটি বিশ্বের প্রথমদিককার ডিম্বাকৃতির বল যা ফুটবলের ন্যায়। সচরাচর একে রাগবি নামেই অভিহিত করা হয়। দু’টি দল একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়ে সর্বাধিকসংখ্যক পয়েন্ট সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। একজন খেলোয়াড় বল হাতে দৌড়ে যায় ও বলটিকে সহ-খেলোয়াড়ের কাছে দেয়ার উদ্দেশ্যে পেছনে দিতে হয়। কিন্তু সম্মুখে দিতে গেলে লাথি মেরে দিতে হয়। খেলার নিয়ম-কানুন প্রবর্তন ও সুষ্ঠুভাবে খেলা পরিচালনার স্বার্থে ইন্টারন্যাশনাল রাগবি বোর্ড ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আমেরিকান ফুটবল এটি আমেরিকাতে খুবই বহুল প্রচলিত এই খেলাটি আমেরিকাতে শীর্ষ খেলা।